মমতাদি গল্পের মূলভাব – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতাদি গল্পের মূলভাব – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতাদি গল্পের মূলভাব-  আজকের পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। নবম দশম শ্রেণীর অন্যতম গল্প হচ্ছে মমতাদি। মমতাদি গল্পটি রচনা করেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন । কারণ আজকের পোস্টে মমতাদি গল্পে এ-টু জেড আলোচনা করা হবে।

মমতাদি গল্পের মূলভাব

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরীসৃপ (১৯৩৯) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মমতাদি গল্প। এই গল্পে গৃহ কর্মের নিয়োজিত মানুষের প্রতি মানবিক আচরণের দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে। স্কুল পড়ুয়া একটি ছেলে যখন দেখে তাদের বাড়িতে মমতাদি নামে এক গৃহকর্মী আসে, তখন সে আনন্দিত হয়। তাকে নিজের বাড়ির একজন বলে ভাবতে শুরু করে ছেলেটি। মমতাদির সংসারের অভাব আছে বলেই মর্যাদা-সম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও তাকে অপরের বাড়িতে কাজ নিতে হয়। এই আত্মমর্যাদাবোধ তার সবসময়ই সমন্বিত ছিল। সে নিজে যেমন আদরের সম্মান প্রত্যাশী, তেমনি অন্য কেউ স্নেহ ভালোবাসা দেবার ক্ষেত্রে তার মধ্যে দ্বিধা ছিল না।

স্কুলে পড়ুয়া ছেলেটি তাই মমতাদির কাছে ছোট ভাইয়ের মর্যাদা লাভ করে। তাকে নিজ বাসা নিয়ে গিয়ে যথা সমর্থ্য আপ্যায়ন করে মমতাদি। সম্মান ও সহি মর্মে তা নিয়ে মমতাদির পাশেও দাঁড়ায় স্কুল পড়ুয়া এই ছেলেটি ও তার পরিবার। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের গৃহকর্মে যারা সহায়তা করে থাকেন তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা জরুরী। আত্ম সম্মানবোধ তাদেরও আছে। আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে, সামাজিক শ্রেণীর মানবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারে না; যে কোন পেশারি যেকোনো মানুষকে দেখতে হবে যোদ্ধা মর্যাদার দৃষ্টিতে।

আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি মমতাদি গল্পের সম্পূর্ণ মূলভাব সম্পর্কে। আশা করি এই সম্পূর্ণ মূলভাব পড়লে মমতাদি গল্প সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত বুঝতে পারবেন। আর বুঝতে কোন সমস্যা হলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url